ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন
অধ্যক্ষের পদ নিয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে জটিলতা
- প্রকাশের সময় : ০৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
- / ৬১ জন দেখেছেন
রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইমামুল হোসেন বলেন, বদলগাছী মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করলে কলেজ পরিচালনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার কলেজের জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে ১৩ম প্রভাষক মাহবুব আলমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন। জ্যেষ্ঠতার বিধি লঙ্ঘন করে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর নিয়োগ বিধি অনুযায়ী তিন বছরের সহকারী অধ্যাপকসহ ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও জাল-জালিয়াতি করে মাহবুব আলমে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিজ্ঞতা সনদ জালিয়াতি ও জ্যেষ্ঠতার বিধি লঙ্ঘণ করে মাহবুব আলমকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিপÍর (মাউশি) মাহবুব আলমকে ২০২৪ সালের ১৭ মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ২০২৪ সালের ৩ জুলাই অধ্যক্ষ মাহবুব আলমের বেতন বন্ধের আদেশ দেন মাউশি, যা অদ্যাবধি কার্যকর আছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ২০২৪ এর ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে পূর্বের কমিটি বাতিল হয় এবং পরবর্তী প্রজ্ঞাপনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ওই বছরের ২৭ আগস্ট কলেজ পরিচালনা কমিটি মাহবুব আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং কলেজের সহকারী অধ্যাপক মমতাজ জাহানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। মমতাজ জাহান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় গত ৭ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিধি বহির্ভূতভাবে বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুলকে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেন। ফজলে হুদা দায়িত্ব পেয়েই সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল রেখে মাহবুব আলমকে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুব আলম বলেন, ‘আমি বদলগাছী মহিলা ডিগ্রি কলেজের বৈধ অধ্যক্ষ। ৫ আগস্টের পর মব সৃষ্টি করে আমাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়। জোরপূর্বক পদত্যাগ বিধিসম্মত নয় বলে পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জনাব ফজলে হুদাকে বিধি মোতাবেক কলেজ পরিচালনা অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন।
এই অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও তার পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পুনরায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। বর্তমান অ্যাডহক কমিটি স্থগিত করা হয়েছে এমন পরিপত্র বা আদেশ তারা দেখাতে পারেননি। তারা শুধু হাইকোর্টে রিট করেছেন এবং হাইকোর্ট এই কমিটির ওপর তিনি মাসের জন্য স্থগিতাদেশ এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের আদেশের কথা বলছেন। রিট শুনানি না হতেই আগের কমিটি কিভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারে?’