ঢাকার ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে নওগাঁয় বিক্ষোভ
- প্রকাশের সময় : ১২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
- / ১৩৯ জন দেখেছেন
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী সোহাগ নামের এক যুবককে পাথর মেরে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে নওগাঁ।
‘চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘একশন টু একশন’, ‘ডাইরেক্ট একশন’ ‘যুবদলের চামড়া খুলে নিবো আমরা’ ‘জ্বালোরে জ্বালো আগুন জ্বালো’ এমন বহু স্লোগানে ঢাকার ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি এবং সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১২জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের মুক্তির মোড়ে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন ছাত্র জনতা। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আবার মুক্তির মোড়ে এসে মিলিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা তানজিম বিন বারীর নেতৃত্বে এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ছাত্র নেতা আরমান হোসেন, সাদনান সাকিব, ফরিদ, রিয়ান, রাফি, গণঅধিকার পরিষদের সাকিব হোসেন, এনসিপি নওগাঁর সমন্বয় কমিটির সদস্য দেওয়ান মাহবুব আল হাসান সোহাগ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে একজন ব্যবসায়ীকে পাথর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে এটি নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, চরম বর্বরতা। এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এমন নৃশংসতা চলতেই থাকবে। তারা আরও বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।
এসময় বিএনপিকে হুসিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারকে নামাতে আমাদের সময় লাগেনি। আপনার দলের নেতা কর্মীরা যদি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ না করে তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে একশনে যেতে আমাদের সময় লাগবেনা। আওয়ামীলীগ যদি খুন, গুম নির্যাতনের কারনে নিষিদ্ধ হতে পারে তাহলে বিএনপি ৯মাসে দেড়’শ খুনের কারনে কেন নিষিদ্ধ হবেনা। এছাড়া নওগাঁতে কোন প্রকার চাঁদাবাজি করতে আমরা দিবনা বলে বিএনপিকে হুঁসিয়ারি দেন বক্তারা।
উল্লেথ্য, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী সোহাগ নামের এক যুবককে পাথর মেরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে পুলিশ যুবদল নেতা মঈনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। এদিকে, যুবদলের নেতা রজ্জব আলী পিন্টু ও সাবাহ করিম লাকি’র আজীবন বহিষ্কারাদেশ এবং আইনি ব্যবস্থা নেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।